বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কর্মক্ষেত্রে নিজের ভাবনা, গবেষণা বা প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আমরা প্রায়ই বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করি।বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত প্রেজেন্টেশন সফটওয়ারের মধ্যে প্রযুক্তিগত ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ।প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করেন। পাওয়ার পয়েন্ট মূলত একটি প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রেজেন্টেশনমূলক স্লাইড তৈরি করা যায়।যা পরবর্তীতে কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্দায় প্রদর্শন করা যায়।
১৯৮৭ সালে ফরথট ইঙ্ক কোম্পানির ডেনিশ অস্টিন ও থমাস রুডকিন মাকিন্টোশ পিসির জন্য Presenter নামক একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম তৈরি করেন।ট্রেডমার্কজনিত কারণে রবার্ট গাস্কিন্স এর পরামর্শে এর নামকরণ করা হয় Powerpoint. সে বছরেই মাইক্রোসফট এটিকে কিনে নেয়। ১৯৯০ সালের ২২ মে মাইক্রোসফট পাওয়াপয়েন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।পরবর্তীতে ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুসারে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়ে ১২ টিরও বেশি সংস্করণ এসেছে। উইন্ডোজ,এপলের সাথে সাথে পাওয়ারপয়েন্টের এন্ড্রয়েড ভার্সনও বাজারে এনেছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট মাসিক সাবস্ক্রিপশন নিতে চাইলে অফিস 365 থেকে নেওয়া যেতে পারে অথবা মাইক্রোসফট স্টোর থেকে সরাসরি মাইক্রোসফট অফিস স্যুট কিনে ব্যবহার করা যায়।
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টের সাহায্যে খুব সহজেই যেকোনো প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যায়।স্টাডি অনুসারে প্রতিটি প্রেজেন্টেশন তৈরিতে গড়ে ২ ঘণ্টা সময় লাগে।প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক রির্পোট স্লাইডের মাধ্যমে উপস্থাপন করে অতি সহজে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, লাভ-ক্ষতি, কর্মীদের প্রোগ্রেস রিপোর্ট বা কোনো প্রজেক্ট আইডিয়া বোঝানো সম্ভব হয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের জন্য আকর্ষণীয় স্লাইডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও মনোযোগী করা যায়। এ করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকের অনলাইনে ক্লাসের কোর্স ম্যাটেরিয়াল তৈরি করতে পারছেন সহজেই।পাওয়ার পয়েন্টের বিশেষত্ব হলো- এর মাধ্যমে টেক্সটের সাথে যে কোন ধরনের চলমান ছবি, শব্দ যুক্ত করা যায়।পরবর্তীতে উক্ত ছবি বা শব্দসমূদ্ধ টেক্সটগুলোকে এনিমেশন আকারে দেখানো যায়।পাওয়ার পয়েন্টে দেড়শর অধিক টেমপ্লেট বা ছাঁচ রয়েছে যার সাহায্যে দৃশ্যগত উপস্থাপনা বা স্লাইড নির্মাণ করা হয়।স্লাইডের উপস্থাপনা সুন্দর করার জন্য এতে থাকা। বহু রঙের প্যালেট ব্যবহার করা যায়।পাওয়ার পয়েন্টে একই সঙ্গে লেখা, সারণি, নকশা ও ছবির ব্যবহার করা যায়।পাওয়ারপয়েন্টে তৈরি প্রেজেন্টেশন পরিমার্জন,সংশোধন ও সংরক্ষণ করা যায়।প্রয়োজনে পাওয়ারপয়েন্টে তৈরি প্রেজেন্টেশন প্রিন্টও করা যায়। প্লাগিন ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েব থেকে সরাসরি যেকোনো ভিডিও ওয়েবসাইট পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে উপাস্থাপন করা যায়।
- ইসরাত হক জেরিন
জুনিয়র এক্সিকিউটিভ
কন্টেন্ট ডেভ্লপমেন্ট টীম