আমার ব্রেইন হ্যাক হয়ে গেছে! এমনকি আপনার ব্রেইনও!
আপনি কি এটা মানতে পারবেন?
অথচ প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে এটাই ঘটে চলেছে। আমরা প্রতিনিয়ত যে সকল পণ্য দ্রব্য ক্রয় করছি, পছন্দ করছি বা বিশ্বাস করছি, কিংবা যেই রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাচ্ছি বা যেই জায়গাগুলোতে বেশি বেশি যাচ্ছি, সবই মূলত আমাদের দিয়ে করিয়ে নেয়া হয়।
বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে একটা উদাহরণ দিই।
অনেক বছর আগে কোকাকোলা এবং পেপসির মধ্যে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো, জনপ্রিয়তা এবং স্বাদের যুদ্ধ!
যেখানে একদল মানুষের উপর ব্লাইন্ড টেস্ট নামে একটি পরীক্ষা করা হয়। তাদের পর্যায়ক্রমে কোকাকোলা এবং পেপসি খাওয়ানো হয়, কিন্তু জানানো হয় না যে কখন তারা কোনটা খাচ্ছেন।
পছন্দের পানীয়ের কথা জিজ্ঞেস করা হলে, প্রথমে সকলে পেপসিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে নাম জানানো হলে, তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরই মত পাল্টে যায়।
এবং উনারা কোকাকোলাকে বেছে নেন।
এটার কারণ কি?
কারনটা হলো, কোকাকোলার সাথে তখনকার মানুষের ইমোশনাল এ্যাটাচমেন্ট।
এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের সাথে এই ব্যপারগুলো কেনো ঘটে?
কারণটা, আমাদের ব্রেইনের লিম্বিক সিস্টেম। লিম্বিক সিস্টেম হলো আমাদের ইমোশনাল ব্রেইন।
বলে রাখা ভালো, আমরা এতক্ষণ যা নিয়ে অলোচনা করলাম তা হলো “নিউরো মার্কেটিং”। নিউরো সায়েন্স এবং মার্কেটিং এর মেলবন্ধনে মূলত নিউরো মার্কেটিং এর জন্ম। যেখানে পন্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন- প্লেসমেন্ট, প্যাকেজিং, রং, দাম এগুলোর উপর মানুষের প্রতিক্রিয়াকে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মার্কেটিং কার্যাবলী পরিচালনা করা হয়।
আজ এ পর্যন্তই! পরবর্তী পর্বে আমরা নিউরো মার্কেটিং এর আরো গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
— মরিয়ম বিনতে আজাদ বিজয়ী
এক্সিকিউটিভ অফ কন্টেন্ট ডেভলপমেন্ট টিম