কী! জাদুর কথা শুনে লেখা পড়তে চলে এসেছেন তাইনা? যে জাদুর কথা বলছি সেটা কিন্তু আপনার ভেতরেও আছে।অবাক লাগছে!
যদি প্রশ্ন করি আপনার পরিবারের মানুষগুলোর সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন অথবা পেশাগত জীবনে আপনার আচার-ব্যবহার কেমন? কিংবা আপনি কি সব পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন? আপনি কি চাপ নিতে পারেন? আপনার দৃষ্টিভঙ্গী কি ইতিবাচক?
শেষ প্রশ্ন,আপনি কি উপরের বিষয়গুলো অর্জন করে একটা সুন্দর জীবন চান? তাহলে,এই সবগুলো প্রশ্নের একটাই উত্তর।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স।
বাংলায় ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সকে আবেগিক বুদ্ধিমত্তাও বলা যেতে পারে।অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আপনার চারপাশের পরিস্থিতিকে কিভাবে দেখছেন আর সামলাচ্ছেন।নিজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে পজিটিভ রাখছেন এবং নিজের মেজাজ কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন।
আপনি ইমোশনালি ইন্টেলিজেন্ট হলে শত চাপের ভেতরেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারবেন আর নিজের সাথে বোঝাপড়াটাও সুন্দর হবে।
এখন প্রশ্ন হলো,এসব গুণ অর্জন করতে হলে কি করতে হবে?নিচে কয়েকটি টিপস দিচ্ছি।
১.সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন।যাই ঘটুক তার ভেতর ভালো দিকটা খুজুন এবং ঘটনার ত্রুটি না খুজে কারণ খুজুন।
২.মানুষের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করুন।তাহলে তার নেতিবাচক আচরণগুলো অতো খারাপ লাগবে না।
৩.নিজকে সময় দিন।সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। নিজকে দক্ষ করে তুলুন।
৪.যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।এটা আপনাকে শক্তিশালী করবে।
৫.কাছের মানুষ আর কলিগদের সাথে যতোটা পারা যায় সুন্দর ব্যবহার করুন।এর ফলাফল দীর্ঘমেয়াদি।
আর সবশেষে আত্মসচেতন হোন।তাহলেই প্রত্যেকটা মুহুর্তে সুন্দর মানুষ হওয়া আপনার জন্যে অনেক অনেক সহজ হয়ে যাবে।
জীবন সুন্দর হোক।
©মাহতাব আব্দুল্লাহ মঞ্জুর